নিস্তব্ধ নিশুতিনী ❑ সাবরিনা মোয়াজ্জেম ❑ পর্ব_০৪
নিস্তব্ধ নিশুতিনী
সাবরিনা মোয়াজ্জেম
❑
রুবাকে জড়িয়ে ধরে পাভেল বলে, কাঁদিসনা রুবা। এ জীবন যতদিন থাকবে ঠিক ততোদিন আমি তোর। মরার পরেও যদি জীবন নামক কোনো দুনিয়া থাকে, সেখানেও তোর কাছ থেকে আমাকে সরাতে পারবেনা কেউ!আমি জীবনে কাউকে ভালোবাসিনি তুই ই আমার জীবনের প্রথম প্রেম বলেই রুবাকে বুকের পাশে জড়িয়ে নেই! তারপর দুজন দু-ঠোঁটে প্রেমের প্রলাপ করছে। ধীরে ধীরে সবাই ঘুম থেকে উঠে যাচ্ছে তারপর পাভেলের ঘর থেকে রুবা বের হয়ে আসে। সন্ধ্যার আঁধার জুড়ে বিকেল নেমেছে। আকাশ ধবধবে পরিস্কার! সাথী তার মায়ের অনুমতি নিয়ে পাভেলকে রিকুয়েষ্ট করে সরু রাস্তা বেয়ে যেখানে অনেক জংলা রাস্তা এতো সরু যা পাভেল ও সাথীর গা মাঝে মাঝে টাসাটাসি হয়ে যায়! অনেক দূর শান বাঁধানো ঘাট। সেখানে নিয়ে পাভেলের খুব কাছাকাছি বসে সাথী। সাথী মনে করেছিলো পাভেল আরও ঘনিষ্ঠ হবে।তাকে ছুঁয়ে দেখবে কিন্তু নাহ, পাভেল আড়ষ্ট হয়ে বসে লেখাপড়া আর জীবন বিষয়ক কথা তার জীবনের পরিকল্পনার কথা সব সাথীকে জানালো! সাথীও তার জীবনের কথা জানালো শুধু পাভেলকে ভালোবাসার কথা বাদে।
হঠাৎ আকাশ কালো হয়ে আষাঢ়ে প্লাবন আর বজ্রবৃষ্টি। সাথী ভয়ে কুঁকড়ে গিয়ে পাভেলকে জড়িয়ে ধরলো! পাভেল এমন সময় সাথীকে দূরে সরালোনা শুধু বলছে ভয় পেয়োনা সাথী। কিছুক্ষণ সামলে নাও নিজেকে। তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে।আমিতো তোমার পাশেই আছি! দুজন উঠে গাছের আড়ালে চলে যায় নিরাপদ মনে করে। দুটো মানুষ ভয়ে লেপ্টে গেছে একে অপরের মাঝে। এতো দুর্যোগের মাঝেও সাথীর শান্তি কারণ পাভেল তাকে ঘীরে আছে। এক সময় ঝড়ের তান্ডব থামলো। তারপর তারা অন্ধকারে হাঁতড়ে হাঁতড়ে পাশাপাশি ঘেঁষে ঘেঁষে জড়িয়ে ধরে বাসায় চলে আসলো। পাভেলের কোনো ফিলিংস নেই কিন্তু সারারাত সাথী ঘুমাতে পারেনি!
সাথী ভেবেছিলো মনের কথা বলবে কিন্তু নাহ, এখন বললে দুজনার জন্যই ক্ষতি হবে। কারণ ভালোবাসা ভেতরে থাকা এক বিষয়, বলে ফেললে দুজন চাইবে দুজনার কাছে যেতে এটা আপাতত ঠিক হবেনা। কাজেই সাথী নিজেকে সামলে নিয়ে দূর থেকেই পাভেলকে ভালোবাসে আর মনে করে পাভেলও সাথীকে ভালোবাসে। সাথীর স্বপ্ন পটে পাভেল ছাড়া অন্য পুরুষের ছায়া নেই, নেই কোনো শক্তি সাথী থেকে পাভেলকে আলাদা করার। সাথী মনে মনে সপথ করে বিয়ে যদি করতে হয় পাভেলকে ই করবে,অন্য কাউকে নয়!
চলবে........


.jpg)


.jpg)
.jpg)
No comments