চিঠি ❑ প্রিয়, জানপাখি
উড়িয়ে দিলাম খোলা চিঠি
❑
প্রিয়,
জানপাখি,
কেমন
আছিস
তুই?
কেমন
আছে
তোর
পাষাণ
হৃদয়।
যাকে
জোর
করে
উপড়ে
নিয়ে
গেছিস
আমার
হৃদয়
কঠোর
থেকে।এঁকে
দিয়েছিস
সেখানে
মস্ত
বড়ো
একটা
ক্ষতচিহ্ন
।
তুইতো
সবটা
নিয়ে
চলে
গেলি
তোর
সুন্দর
ভুবনে
আর
পিছনে
ফিরে
তাকালিনা।
দেখলিনা
কতটা
ব্যাথা
পেলে
কতটা
রক্ত
ঝরে।
কতটা
যন্ত্রণা
দায়গ
সে
ব্য।থা।
জানপাখি-রে,
কি
ভুল
ছিল
আমার?
বলনা-রে
তুই
একটি
বার।
আমার
মনের
সিংহাসনে,
তুই
ছিলি
মোর
রাজা,
কোন
দোষেতে
দোষী
করে,
দিলি
এমন
সাজা।।
তোর
আদালতে
এখনোও
কি
ফুরায়নি
মোর
সাজা?
আর
কতটা
কাঁদলে
পরে
পূরণ
হবে
সাজা।
তোর
পাশান
হৃদয়
একবারও
কি
বোঝেনা
মনের
কথা।
.জানপাখি-রে,
আর
যে
সইতে
পারিনা
এ
ব্যাথা।
বিচ্ছেদ
বড়ো
যন্ত্রণা
দেয়
পেয়েছে
যেমন
রাধা।
তেমন
করেই
তুই
আমারে
দিলিরে
সেই
কাঁটা।
সুখটা
আমি
চাইনা
রে
তোর,
কষ্ট
টা
দিস
আধা।
জানিস
জানপাখি
-রে,
আজ
পৃথিবী
কেমন
যেনো
স্বার্থপরের
মতো
অঘোরের
ঘোরে
ঘুমিয়ে
আছে।
শুধু
ঘুম
নেই
এই
আঁখি
ঘরে।
বড্ড
ক্লান্ত
লাগে
ওরে
।
তবুও
ওরা
ঘুমাবে
নারে।
বড্ড
বেয়ারা,
আজ
যে
নয়ন
তাঁরা,
শুধুই
তোরে
খুঁজে
ফিরে।
সে
যে
অবিরাম
চেয়ে
থাকে
তোর
ঐ
পথপানে
।
কইলে
কথা
শুনেই
না
-রে।
জানপাখি-রে।
জানিস
জানপাখি?
আজ
বলবো
তোরে
অনেক
কথা
যে
না
বলা
কথা
গুলো
বলি
বলি
করে
বলা
হয়ে
ওঠেনি।জমিয়ে
রেখেছিলাম
তোকে
দেয়া
এ
হৃদয়
ঘরে।
কিন্তু
বলতে
পারিনা,
শুধু
তুই
নেই
বলে।
জানিস
জানপাখি
খুব
মনে
পরে!
তোর
প্রথম
কথা
বলা,
তুই
সেদিন
বলেছিলি
-আমার
জগতটা
তোমাকে
ঘিরে
আমার
হাসি
আমার
কান্না
আমার
সব
কিছুই
যেনো
তুমি
হয়ে
গেছো।
আমি
তোমার
মাঝে
বিলীন
হয়ে
তুমি
ময়
হয়ে
আছি।
জানপাখি-রে
মনে
পরে
তোর
সে
কথা?
আমি
তো
ভুলতে
পারিনা
সবসময়
আমার
ভাবনা
গুলো
কেমন
যেন
তোকে
নিয়েই
ভাবতে
ভালোবাসে।
আজ
ওরাও
যেনো
আর
আমার
কথা
শোনেনারে।
কেবল-ই
তোর
দিকেই
ছুটে
চলে।
জানিস
আমি
অনেক
বার
ওদের
শাসন
করেছি
কিন্তু
ওরা
যেনো
দিন
দিন
আরও
বিদ্রোহ
শুরু
করেছে।
কি
করি
বলতো?
জানিস
জানপাখি
মাঝে
মাঝে
খুব
কাঁদতে
ইচ্ছে
করে-রে
কিন্তু
সেটাও
যে
বেমানান।
দেখ
না
এই
বেয়ারা
চোখদুটো
বললে
কোনো
কথা
শোনেই
না-রে।
কি
করি
বলতো
এখন।
ভাবিসনা
তুই
কাঁদছি
আমি।
ওসব
কি
আর
আমায়
মানায়।
শুধু
বেয়ারা
নোনাগুলো
বাধ
না
মানে।
পেরিয়ে
ওরা
সকল
বাধা,
কেমন
যেনো
বেরিয়ে
পরে
।
কাঁদলে
হৃদয়
কাঁদে
কি
নয়ন!
ওতো
ওরা
স্নান
করে।
জানিস
জানপাখি,
তুই
চলে
গেলে,
ওরা
আমায়
একলা
ভাবে,
তাইতো
কথা
শুনেনারে
অঝর
ধারায়
সকল
সময়
ওরা
শুধুই
স্নান
করে।
আমার
কথা
শোনেই
না-রে।
ভাবিস
না
রে
তুই
কাদঁছি
আমি
ওসব
কি
আর
আমায়
মানায়।
তবে
শুয়ে
থাকলে
বালিশ
ভেজে
বসে
থাকলে
চিবুক
ভেজে!
বড্ড
বেয়ারা
নোনা
গুলো,
কোনো
বাধাই
মানে
নারে।
ভালো
থাকিস
অনেক
দুরে
শুভকামনা
চিরন্তরে।
❑
ইতি
তোর
দূরের
সাথী
মিস্টি
অধিকারী
সুপ্রিয়া
No comments