চিঠি ❑ অনামিকা
চিঠি
❑
২১/০৫/১৯৯২
অনামিকা,
❑
হৃদয়
নিংড়ানো
সবটুকু
ভালোবাসা
দিলাম
তোমায়
উপহার;
ভালো
থেকো
তুমি,
সুখেই
থেকো
শুভকামনা
বারংবার।
তোমার
কাছে
লেখা
এটাই
হয়তো
শেষ
চিঠি
অনামিকা।
চিঠিটা
যখন
লিখছি
তখন
কাঁপছে
হৃদয়
থরথর।
চোখ
যেন
মহাসাগর
যেখানে
উত্তাল
ঢেউ
সারাটা
প্রহর।
বারবার
চোখে
মুছে
চিঠিটা
লিখছি
অনেকক্ষণ।
এখনো
ঠিকমতো
শুরুই
করতে
পারলাম
না।
আচ্ছা
অনামিকা,
কী
করে
আমায়
অবলীলায়
ভুলে
গেলে?
আমার
চাইতে
তুমিই
বারংবার
বলেছ-------
"সাগর
আর
নদীর
কী
অটুট
বন্ধন
প্রেমের
টানে
নদী
ছুটে
সারাক্ষণ।
আমার
হৃদয়ে
আছে
ফুলের
বাগান
ফুল
হয়ে
নিত্য
ছড়াও
খুব
মিষ্টি
ঘ্রাণ।"
মনভোলানো
দারুণ
সব
কথার
ফুলঝুরিতে
বিমোহিত
করে
রাখতে
যে
আমায়
তুমি
কি
সেই?
কী
করে
পারলে
অনামিকা
ফুলদানিতে
সাজিয়ে
রাখা
ফুলগুলিকে
এক
নিমিষেই
পিষে
দিতে?
তোমার
কি
মনে
পড়ে
না,
খেয়াঘাটে
বসে
কী
কথা
দিয়েছিলে
হাতে
হাত
রেখে?
একদিন
নয়,
দুইদিন
নয়
বহুদিন
বহুবার
হেঁটেছি
মেঠো
পথে,
বলেছি
কত
না
বলা
কথা,
গেয়েছি
উজাড়
করে
হৃদয়ের
গান।
"কৈশোরের
বালিকা
বধু,
যৌবনে
কুহেলিকা
অজানা
এক
রহস্য
তুমি
ঠিক
যেন
মরীচিকা।"
অনামিকা,
অনেক
অনেক
কথা
জমিয়ে
রেখেছিলাম
তোমাকে
বলব
বলে।
সেই
সুযোগটা
তুমি
আর
দিলেনা।
রাতটা
তো
প্রায়
শেষ
হয়ে
এলো
কিন্তু
কথাতো
শেষই
করতে
পারলাম
না----
ভালো
থেকো
তুমি
সারাটা
সময়
চিঠির
টানলাম
ইতি;
মনে
আমার
রয়ে
গেল
জমা
ভালোবাসার
দগদগে
স্মৃতি।
ইতি
অভাগা
No comments