চিঠি ❑ মা
চিঠি
❑
মা
নুসরাত
জাহান
❑
মা
জানিনা
কেমন আছো? কোথায় আছো?
শুধু
এটুকুই চাওয়া আল্লাহ যেন তোমাকে খুব খুব ভালো রাখেন। যত না পাওয়া ছিলো আল্লাহ যেন সব
পাওয়ায় ভরিয়ে দেন।
মা তোমার রেখে যাওয়া ৩ বছরের প্রাপ্তি এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। বৃষ্টি আর ছোট নেই সে এখন ইউনিভার্সিটিতে পড়ে।আর মুক্তি বিসিএস প্রস্তুুতি নিচ্ছে। জানো না তোমার আদরের গেদা (ছেলে) এখন মেয়ের বাবা। এতো ফুটফুটে একটা মেয়ে,সারাদিন বাড়ি মাথায় করে রাখে।ওর দুষ্টমিতে সবাই মেতে থাকে।
জানো
মা আমিও মা হয়েছি। আল্লাহ আমার কোল জুড়ে একটা মা দিয়েছে।এখন সব আছে। চাইলেই সব পাই।শুধু
তোমাকে পাই না।তোমার আদর শাসন আর অফুরন্ত ভালোবাসা কোথাও পাই না।
তোমার
চাওয়া ছিলো তোমার সন্তানেরা মানুষ হবে, গর্বে তোমার বুক ফুলে যাবে।
তোমার
আশা পুরন করতে পেরেছি। তোমার সন্তানেরা আজ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত, তিন সন্তান সরকারি
চাকরি করে। আমরা তোমার কথা রেখেছি।শুধু আমরা তোমাকে হাড়িয়ে ফেলেছি,চারপাশে তোমার স্মৃতি
সারাক্ষণ তাড়া করে বেড়ায়।। শুধু তোমার মুখটা দেখিনা,তোমার গায়ের গন্ধটা খুব মিস করি
মা।তোমার কোলে ঝাপিয়ে পড়ে মা মা বলে চিৎকার করতে বড় ইচ্ছা হয়। কত দিন প্রান ভরে তোমায়
ডাকি নি।মা ডাকটার এতো শান্তি আর কোথাও পাইনা। বড় অবেলায় আমাদের একা করে চলে গেছো মা।
জানি আর কোনদিনও তোমায় পাবো না।তবুও পোড়া মন বোঝে না তোমায় দেখার সাধ মেটে না।
আচ্ছা
মা আমার আমার বড় মেয়েটা কি তোমার কাছে আছে? নিশ্চয় তুমি ওকে খাইয়ে,দাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে
দাও।ওকে বলো ওর মা এখনো ওর জন্য কাঁদে। ও যেন আমায় ভুলে না যায়। তুমি ওকে আগলে রেখো।আমাদের
ছেড়ে তবুও তুমি তোমার নাতনিকেতো কোলে পেয়েছো। আমার মেয়েটা তোমাকে পেয়েছে। তোমরা ভালো
থেকো।তোমার সেবা করার সৌভাগ্যতো আমার নেই।শুধু আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানাই মহান আল্লাহ
যেন তোমাকে জান্নাতুল ফেরদৌসে রাখেন। জান্নাতের বাগিচায় পরম শান্তিতে রাখেন।
তোমার
আদরের
মা
হারা সন্তান
No comments