ধর্ষণ ব্যাধি _ খালেদ বিন আক্রামের লেখা গদ্য কবিতা
ধর্ষণ ব্যাধি
কখনো সম্ভব নয়,ধর্ষণ ব্যাধি বন্ধ করা,নিশ্চিত করেই বলা যায়
ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত মিডিয়া আর নেটের অপব্যবহার বন্ধ হবে না,
কি হবে রাস্তায় রাস্তায় ব্যানার ফ্যাস্টুন টাঙিয়ে লাল কালিতে ধর্ষণ বন্ধ করতে হবে লিখে
বাহিরে এগুলো কেবল সামাজিক আই ওয়াশ,এতে লাভ নেই বরং বিশ্বে জাতিকে ছোট করা হচ্ছে।
যদি পারা যায় তবে সমাজ থেকে আগে অপসংস্কৃতি অপসারণ করার উদ্যোগ নিতে হবে
হাই ভোল্টের পর্নোগ্রাফী, অবাদে মেলামেশা ,অবান্তর যৌন চাহিদা রোধে একমত হতে হবে।
আগের যুগের তুলনায় এ যুগে কেন ধর্ষণটা এতো বেশি পরিমানে বৃদ্ধি পেলো খুঁচিয়ে দেখতে হবে
পরিসংখ্যানে পাওয়া যাবে,অল্প বয়স হতেই শিশুদের স্মার্ট ফোন আর উন্মুক্ত নেটের অতিরঞ্জিত ব্যাবহার।
লিভ টুগেদার, এটা পশ্চিমা সংস্কৃতি, এটার আঁচড় এসে গ্রাস করেছে আমাদের সোনার বাংলায়,
মেলামেশার ঐচ্ছিক বিধানকে মৌন সাপোর্ট করার কারনে কিশোর যুবক হয়ে উঠেছে দুর্ধর্ষ যৌন লোভী।
আমি বলবো কেবল ধর্ষকের দোষ ষোলোআনা নয়,ধর্ষিতা এতে এক পারসেন্ট হলোও ইনভল্ব।
ঐচ্ছিক বিধান উন্মুক্ত থাকায় উভয়ই সমান অপরাধে অপরাধী, কারন উভয়ই যৌন ক্ষুধায় আক্রান্ত।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঢিলেঢালা পোশাক, স্পর্শ কাতর অঙ্গ ওপেন করে চলা এগুলো ধর্ষকদের শক্তি যোগায়,
আর উলঙ্গ চলাফেরা, দীর্ঘক্ষণ ফোনআলাপ যৌন রসময় ভিডিও একসাথে দেখা ধর্ষণের উৎস হয়।
গোপন রুমে রুম মিট করতে কেবল ধর্ষক একা কখনো পারেনা, এখানে দুজনারই একমত হতে হয়,
শতকারা নব্বইটি ধর্ষণ বিশ্লেষন করলে দেখবে ধর্ষিতা ধর্ষণ হওয়ার অনেক পরে ব্যাপারটা ফ্লাস আউট করে।
খুব কমই এরকম হয় যে ঘর ভেঙে উঠিয়ে তুলে নিয়ে কোনো মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়,
বরং দুজনই পূর্বে আলোচনা সাপেক্ষে দেখা করতে মর্জি হলে পরে দুজন নির্জন স্থানে একত্রিত হয়।
তাই আইনটা কেবল ধর্ষকদের জন্য নয়, বরং ধর্ষিতা কতটুকু এগ্রি ছিলো তাও খতিয়ে বিচার করতে হবে,
গলা ফাটিয়ে বাজনা বাজিয়ে দুই হাজার বছরেও ধর্ষনের পরিসংখ্যান নিম্নগামী করা যাবেনা।
এখানে আগে সকল ছেলে মেয়েদের বন্ধুত্বটা একটা সিমিতো পর্যায় নামিয়ে আনতে হবে,
বয় ফ্রেন্ড আর গাল ফ্রেন্ড নামের এই করোনার ভ্যাকসিন কখনো কোনো ল্যাবে আবিষ্কার হবেনা।
একজন আরেকজনের ফ্রেন্ড হওয়ার কারনে ছেলেরা মেয়েদের অতি নিকটে উঠাবসা করতে থাকে,
বিশেষ বয়সে যখন দুজনই যৌন স্বাদ গ্রহনে কিছুটা ইন্টারেস্টিং হয়ে উঠে তখনই আসে কাম চাহিদা।
সুযোগ বুঝে একদিন যা হওয়ার হয়ে যায়,নিভে যায় কিশোরী যুবতীর জীবনের সকল জীবন সূচি,
সামান্য ভুলে সারাজীবন বাঁচতে হয় ধর্ষিতা নামের নামকরণের বিষাক্ত অক্সিজেনে।
এখন বলো ,তোমাদের এই আন্দোলনের কারনে এই অশুভ অপসংস্কৃতির চুলও কি ছিঁড়ে যাবে,
বক্তৃতা মিছিল মিটিং দিয়ে কখনো কি সম্ভব ছেলে মেয়েদের অবাধ মেলামেশা হটানো।
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত মানব বন্ধন করলেও কি সমাজ হতে স্মার্টফোন আর নেটের কবর হবে,
ওউন লাইফ ওউন ডিছেসন এটা কোন স্টাইলে বেস্টুন ব্যানার টাঙালে এ ইচ্ছার পরিবর্তন ঘটাতে পারবে।
না কখনো নয়,নিশ্চিত করে বলতে পারি কখনো হবেনা এ জাতির কু অভ্যাসের পরিবর্তন,
যদি নিজ নিজ দায়িত্বে নিজে সেইভ থাকতে না পারি তবে কোন দলের আন্দোলনে কিছুই হবেনা।
আর আমরা খুব খারাপ মনের এক জাতি,কেবল সার্থ খুঁজে নখ টাকানো আমাদের জন্মগত অভ্যাস,
ধর্ষন হলেই বলছি এটা ছাত্র লীগের কাজ অথবা অমুক দলের লোকের কাজ, এতে আমি একমত নই,
ধর্ষণ একটা চরিত্র গত মেটার,কোন মানুষই যৌন চাহিদা হতে মুক্ত হতে পারেনা,সে যে দলের হোক,
এদিকে আমার বোনেরা ধর্ষেত হয়ে ক্ষোভে আত্মহত্যা করছে আর আমরা সরকার পরিবর্তনের কুলু খুঁজছি।
এ লোকগুলো সমাজের একধরনের কিট,যদি পারা যায় তবে ধর্ষিতার পক্ষে কথা বলো,
না হয় সুযোগে হুজুগি করা এগুলো বাদ দিয়ে দিতে হবে
এভাবে তোমরা জাতিকে ধ্বংস করতে পারনা।
সরকার বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে পারছেনা যথাযথ বিচারের কাজ চালাতে,
কেবল কোর্টে ফাঁসি আর ফাঁসির ছড়াছড়ি কিন্তু উচ্চ আদালতে গিয়ে হালকা হচ্ছে রায়।
ধর্ষিতার পক্ষে উচ্চ আইনজীবী নিয়োগ হচ্ছেনা,দীর্ঘ প্রসেস হওয়ার কারনে বাদী পক্ষ নিরাশা হচ্ছে,
ঐদিকে ধর্ষকপার্টি টাকাওয়ালা হলে ছড়াচ্ছে টাকায় গোছা এখানে ওখানে,কেউ গিলছে সেই টাকা।
একপর্যায়ে থেমে যায় আশার প্রদীপ, তৃতীয় পার্টি নিয়োগ করে মেয়ের বাবাকে দেওয়া হয় টাকার প্রস্তাব
এমনেই গরীব তারউপর ধর্ষিতার বিয়ে এ রকম কথা ভেবে পরিবার গ্রহন করছে সামন্য অর্থ, তুলছে কেইচ।
এখন বলো কি করে এতগুলো ব্লাক প্রসোস তুমি জব্দ করবে, আন্দোলন করে? তা সম্ভব নয়,
তাই ফিরে যেতে হবে আবার অন্তত দুই যুগ আগের ভারসনে,তারমানে প্রযুক্তিগত ডেমেজ নয়,
প্রথমেই চলাফেরার সিমানা সংক্ষিপ্ত করে নিয়ে আসতে হবে একটা ছোট্ট পরিষরের মধ্যে,
মেলামেশার ব্যাপারে মেয়েদের থাকতে হবে যথেষ্ট সচেতন, সন্ধার পরে কোন মিট করা চলবেনা।
গায়ের কাপড় ঢেকে পরতে হবে যাতে সৌন্দর্য আর স্পর্শ কাতর স্থান গুলো আবদ্ধ থাকে,
হেজাপ পরলেতো খুবই ভালো ,তাতে ধর্মীয় ও সামাজিক দুইদিকেই সুফল পাওয়া যাবে।
মেয়ে বন্ধু অবশ্যই তার ছেলে বন্ধুর ডাটা থানায় ইনফর্ম করে রাখবে, তাতে অপরাধ ঠেকানো যাবে,
তবে মেয়েদের কোনো বয় ফ্রেন্ড একসেপ্ট না করাটাই সবচেয়ে বেটার পলিসি।
কমিয়ে আনতে হবে আধুনিক যন্ত্রপাতির অপ্রয়োজনীয় ব্যাবহার গুলো,
অশ্লীল ভিডিও ,দীর্ঘক্ষণ নেকেট আলাপ, গোপনে দেখা করা পার্কে ঘুরতে যাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।
নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে নিতে হবে,কোনো ধর্মে নেই বেহায়াপনা অথবা অশ্লীলতার বিধান,
রাস্ট্রিয় আইন মেনে চলতে হবে,কোন নিগেটিভ মুড বুঝতে পারলে অবশ্যই পুলিশ ইনফর্ম করতে হবে
ডেটিং,রুম ডেটিং ,পার্ক ডেটিং,রেস্টুরেন্টে খাওয়া,দূরে ঘুরতে যাওয়া, ও পরিবার প্রধান হতে আলাদা হবেনা,
পড়ালেখার ক্ষেত্রে ছেলে ক্লাস মেটের সাথে সময় দিতে হলে তা অবশ্যই অভিভাবকদের সামনে দিতে হবে।
কারো প্রসংশায় আপ্লুত হওয়া,খারাপ প্রস্তাব পাওয়া, বিয়ে করবো বলে কাছে ডাকা এগুলো কেবল ছলনা
তাই মেয়েদের বলি দুষ্ট বদ ছেলেদের হতে তুমি নিজেকে না বাচাতে পারলে সমাজ তোমাকে বাঁচাবেনা।
আসুন এই প্রার্থণা করি,আমার একটা বোনকেও আর ধর্ষিত হতে দেবোনা,
অপসংস্কৃতি পরিবর্তন করে নিজ নিজ ধর্মীয় সংস্কৃতি মেনে নিয়ে আবার দেশকে সবুজ করে গড়ে তুলি।
খালিদ বিন আকরাম
No comments