Header Ads

প্রথম প্রেম ❑ সাবরিনা মোয়াজ্জেম ❑ পর্ব_০৭


প্রথম প্রেম

সাবরিনা মোয়াজ্জেম

পর্ব_

 এই জোয়ার ভাটায় খেলার মতো রাহাত আর বনলতা ঝুলছে তবে দূরে গেলেও মন থেকে দুজন দুজনকে আকড়ে ধরে রাখে। চিঠির প্লাবনে দুজন ভেসে চলে মুয়ুরপংখী নায়ে চড়ে সুখ সাগরের ভেলায়! দুজনার প্রাণ, প্রাণে মিশে একাকার। বাসার সবাই ধরে নিয়েছে এদের আলাদা করা যাবেনা! আলাদা করতে গেলে যেনো একটা অভিশাপ যেচে আনা। ওদের প্রেম এতোই ইন্নোসেন্ট যা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাই দু পরিবার ই কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও তারা এই সম্পর্কে রাজি। আর বনলতাও আগের মতো উচ্ছল নয় বরং বয়স হওয়াতে অনেকটা শান্ত আর ধীর। এভাবে কখন বনলতা ইন্টারমিডিয়েট উঠে গেলো বোঝা ই গেলোনা। দিন আসলেই চোখের নিমিষেই ফুরিয়ে যায়। লক্ষি লতার মতো পূর্ণ যৌবন আর পূর্ণিমার আলো হয়ে জ্বল জ্বল করে রাহাতের ঘরে আসবে এই অপেক্ষায় দিন গুনছিলো!

রাহাত সবে ল্যাফটেনেন্ট হয়েছে। তাই তাদের বিয়েটা আরও একটা ধাপের জন্যে অপেক্ষা করছে কারণ ক্যাপ্টেন না হওয়ার আগে বিয়ে করতে পারবেনা। এ নিয়ে দুজনার তেমন কোনো মাথা ব্যথা নেই। চোখের দেখা না হলেও মনের দেখা তাদের হচ্ছে। ঘর বাঁধার স্বপ্নে মুখর হয়ে আছে। কখন একে অপরকে কাছে পাবে! দুজন ই মোটামুটি বড় হয়েছে তাই বাইরের পাগলামি থেমে গেলেও মনের পাগলামি দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই রাহাত বনলতাকে চিঠিতে " বউ" বলে সম্বোধন করে। এতে বনলতার চোখ ভিজে যায়। রাহাতের চেয়ে বনলতার আকুল আর চিঠি লিখা বেশী হয়ে থাকে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে ফেলে আসা উত্তাল দিনের কথা রাহাত ভাবে। আর ভাবে কবে যে প্রতিক্ষার অবসান হবে। এর মাঝেই রাহাতের চীনে একটা ট্রেনিং পরে যায়। রাহাত মা বাবাকে ল্যান্ড ফোনে জানিয়েছে। কিন্তু বনলতাকে বলার সাহস পায়না। এভাবে মনের দোলায় দুলতে দুলতে চীনে যাওয়ার আগে বাড়ি যাবার ছুটির দরখাস্ত করে। তারপর সোজা বাসায় গিয়ে কোনো রকম খেয়ে বনলতার বাসায় চলে যায়। আজ বনলতাকে জড়িয়ে ধরে বলবে, "তোমাকে বড্ড বেশি ভালোবাসি বনলতা। " বনলতার বাসায় গিয়ে দেখে বনলতা মামার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছে দিনাজপুরে!

চলবে.........

মডেলঃ আমার মেয়ে, ডাক্তার শাহ ফারাহ।

 

No comments

Powered by Blogger.