প্রিয় গল্প _ জান্নাতুল মাওয়ার লেখা চিঠি,
প্রিয় গল্প,
হেমন্তের সোনালী পাকাধান যখন মাঠে ঢেউ খেলছে, কৃষক বধু যখন নবান্নের সাজ সাজ রবে ব্যস্ত ঠিক তখনই তোমাকে লিখতে বসলাম সব অভিমান ভুলে। তুমি তো জানো এমন আবহাওয়া আমার বেশ পছন্দ।
তারপর বলো কেমন আছো, গল্প? আশাকরি নতুন ছন্দকে নিয়ে বেশ ভালোই আছো।
তোমার জানতে ইচ্ছে করেনা তোমার কবিতা কেমন আছে? মনে পড়ে? কবিতাকে তোমার গল্পের হৃদপিঞ্জরে প্রধান নায়িকা করে রাখা সেই আলোছায়াময় দিনগুলোর কথা---
হাতে হাত রেখে পুরাতন কৃষ্ণচূড়ার গাছের নিচে সেই শপথ ভুলে গেলে, ভুল বুঝে। কতবার অজান্তেই পা ছুঁয়ে পাগলের মতো বিলাপ করে বলতে--- আমি যেন তোমাকে না ভুলে যাই অথচ, অথচ কী হতে কী হলো বুঝলাম না কিছুতেই। সন্দেহের সাগরে ডুব দিয়েছিলে ভাসতে পারলে না আর। হাতে হাত রেখে পথচলাটা শেষ হবার কথা ছিলো না। কিন্ত,কিন্ত,
গল্প, আমি তোমার চরিত্র ঠিক বুঝিতে পারতাম না, কখনো ফাগুন কখনো আগুন! এখনো কী লালশার্ট পরো? রাতজাগো কী এখনো কবিতা যপে? চুলগুলো কী এখনো বড় রাখো আগের মতো?গল্প, ছন্দ বুঝি বেশ ছুঁয়ে থাকে তোমাকে? ছন্দের সাথে পুরাতন জংধরা কিছু চেনা শব্দযোগে তৈরি করতে পারবে না নতুন কবিতাকে? কবিতার সব ছন্দ হারিয়ে গেছে
হাতড়িয়ে খুঁজে পাইনা প্লেন কোন শব্দ
জানো গল্প, আমার ভালবাসার রঙটা প্রথমে ছিল বেদনার
তোমাকে হারিয়ে এখন পুরোপুরি শোকেই আছি
তুমি বুঝি লালেই আছো
? আবির রঙে রাঙ্গিয়ে দিচ্ছো ছন্দকে
! জীবনের ভাগটা মিলাতে পারলাম না গল্প
-----
কিছু অবশিষ্ট -------
মানে বলছিলাম ভাগশেষ রয়ে গেল। প্রথম যোগেই ভুল ছিল আমার তাই যতই বিয়োগ করি কিছুতেই নিঃশেষে বিভাজ্য হতে পারিনা , হয়তো পারবো না কোনদিন
রাত অনেক হয়ে গেল নিশাচর পাখিগুলো ডানা ঝাপটিয়ে চলছে তার সাথীকে নিয়ে এগাছ থেকে ওগাছে। ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক জানিয়ে দিচ্ছে আমাকে বিছানায় যেতে ----
আজ আর নয় জেগে জেগেই ঘুমাতে গেলাম।
ভালো থেকো ছন্দকে নিয়ে আর কবিতার জন্য কিছু শব্দ খোঁজ যদি পারো কিছু জংধরা শব্দ -----------
হ্যাঁ, জং ধরা
ইতি,
তোমার
খ
সে
প
রা
শব্দের কবিতা
No comments