পাগলমন মনরে আমার ❑ সাবরিনা মোয়াজ্জেম ❑ পর্ব_০৪
পাগলমন মনরে আমার
সাবরিনা মোয়াজ্জেম
❑
ফাইয়াজ মনের আনন্দে সেদিন আর ঘুমাতে পারিনি!
কারণ মিতার স্বামী নেই একথা ভাবলেই ফাইয়াজের মনে ধুকুরপুকুর করে উঠে! সাতরঙা
স্বপ্নের পশরা সাজিয়ে বালিশ বুকে নিয়ে প্রথম দেখার স্মৃতি রোমন্থন করে! আহা সেদিন
কেনো যে নামটা জানা হলোনা। মনের মাধুরি মিশিয়ে কথা বলা হলোনা! সমস্যা নেই শার্ট
আনার সময় মনের জানালা খোলে ধরবো সেখানে সে আসবে সুরভিত সুভাষ হয়ে! তবে আমাকে কেনো
দোকানের নাম্বার দেয়া হলো তারও মাশুল দিতে হবে! আবার ভাবে আমায় দেখে যদি না চেনার
ভান করে? তাই একটু নরম হয়! অনেক ভাবনার মাঝে মিতা ফাইয়াজকে ঘীরে রাখে! মাঝের একটি দিন
যেনো কাটেইনা! মিতা অসম্ভব সুন্দরী নয় কিন্তু অসম্ভব মায়াবী! এটাই ফাইয়াজকে কাছে
টানে। সাথে মিতার বিশ্বস্ততা! না হলে পরিচয় নেই একটা ছেলেকে হিরহির করে গাড়ি থেকে
টেনে নিয়ে রাত দশটায় ঘরে ফিরতে পারে! মেয়াটার সাহস আছে বটে!
ফাইয়াজের যদিও প্রায় প্রতিদিন সেইভ করতে হয়
কিন্তু আজ পারলে ফাইয়াজ চামড়া ছিলে ফেলে দেয় কারণ আজ মিতার সাথে দেখা হবে! আবার
ভাবে, সন্ধ্যায় যাবো বিকেলে আরেক বার সেইভ করে নেবো! পারফিউমের অভাব নেই তবুও
পারফিউম কিনে আনে! নাকী আতর দেবো? দূর আতর মাখে মুরুব্বিরা!ভেবেই মনের অজান্তেই
হেসে উঠে! তারপরও আতরের ভাবনা মাথায় রয়েই যায়। আতরের শিশিটা প্যান্টের পকেটে পুরে
রাখে! যদি মিতার উৎসাহে ভাটা পরে তবে না হয় আতর মেখে সুগন্ধি ছড়িয়ে দেবে!
সন্ধ্যা হবে হবে ভাব। দামী গেঞ্জি, জিন্স পায়ে
নামী ব্র্যান্ডের জুতো! মাথায় ক্যাপ দেবে! একবার দিলো দিয়ে আয়নায় দেখলো হরর
সিনেমার নায়ক লাগছে। আসলে ফাইয়াজ তো রোমান্টিক হতে চাচ্ছে! কি করবে ভাবতে ভাবতে
ক্যাপটাও হাতে রেখেছে! ঘর হতে বের হলো গাড়ি নিয়ে। তারপর সোজা মিতার শো-রুমে।
শো-রুমের বাইরে থেকে দেখে মিতা গোলাপি ড্রেস পরে আছে। কোথায় যেনো একটা স্নিগ্ধ আর
পবিত্রতার ছোঁয়া মিতাকে ঘীরে রেখেছে! এতো মায়াময় মানুষ হতে পারে নাকি? ফাইয়াজ
আবারও চুল ঠিক করে মিতার শো-রুমে ঢুকে মিতার বরাবর দাঁড়িয়ে আছে। মিতা তখনো ফোনে
টেন্ডারের বিষয়ে মাথা নীচু করে কথা বলেই যাচ্ছে!
চলবে...........


.jpg)


.jpg)
.jpg)
No comments