অবন্তিকা
উপন্যাস
অবন্তিকা
কিশোর
পণ্ডিত
ব্যারিষ্টার পি.কে. রায় চৌধুরী হাসপাতালের বারান্দা দিয়ে ব্যতিব্যস্তভাবে আনমনা হয়ে পায়চারি করছিলেন । একটু আগে তার স্ত্রী কেয়া চৌধুরী গাড়ী এক্সিডেন্ট করে আহত হয়েছেন । তার বা হাতের ক্ষত দিয়ে বড় বেশী রক্ত ঝরছে । তাই অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের ফলে তার অবস্থা বড়ই সংকটাপন্ন । মিঃ চৌধুরী তার স্ত্রীর রেয়ার গ্রুপের রক্তের জন্য এত ব্যতিব্যস্ত । কিন্তু এ রেয়ার গ্রুপের রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না । হঠাৎ সন্ধানীর এক লােক এসে খবর দিল যে আপনার রেয়ার গ্রুপের রক্ত পাওয়া গেছে । তবে ছেলেটি দাম একটু বেশী চাচ্ছে । মিঃ চৌধুরী তাদের দামের কথা না ভেবে রক্ত সংগ্রহের কথা বললেন এবং তিনি নিজেও সেই ছেলেটির কাছে দ্রুত চলে গেলেন । পরে ছেলেটির দেয়া রক্তে মিসেস চৌধুরীকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করা হল । মিঃ চৌধুরী হাসপাতালের বারান্দাতেই দাড়িয়েছিলেন । তিনি লক্ষ্য করলেন যে ছেলেটি রক্ত বিক্রি করল , সে রক্ত বেঁচা টাকাটা নিয়ে তার সামন দিয়েই নিচে নামতেছিল । মিঃ চৌধুরীর কৌতুহল হল এ বয়সের ঐ যুবক কেন রক্ত বিক্রি করল । তাই তিনি সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং ঐ ছেলেটির মুখোঃমুখি হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন , আচ্ছা বাবা তুমি রক্ত বিক্রি করলে কেন , বলবে কি ? ছেলেটি কিছুই বলল না । সে সিঁড়ি বেয়ে নিচের তলায় নেমে গেল । মিঃ চৌধুরীও উত্তর না পেয়ে তার সাথে সাথে নিচে নেমে এলেন । তিনি আবারও জিজ্ঞাসা করলেন বাবা , বললে না তাে রক্ত বেঁচলে কেন ? এবার ছেলেটি মিঃ চৌধুরীর কথার উত্তর না দিয়ে পারল না । সে বলল গ্রাম থেকে এসেছি ১৫ দিনের মত । যখন গ্রাম থেকে আসি তখন ঢাকায় আসি একটা চাকুরীর আশায় । খুব কষ্টে বি.এ পাশ করেছি এখন আর লেখা পড়ার খরচ চালাবার সাধ্য নাই । তাই চাকুরীর খোঁজে শহরে আসা । কিন্তু এ অল্প শিক্ষা নিয়ে ঢাকার শহরে বিভিন্ন অফিসে অফিসে ঘুরে ফিরে কোন কাজ হয় নাই । কিন্তু আমার সব টাকা শেষ হয়ে যায় , তাই আর কোন উপায় না দেখে এ ব্যবস্থাটা করেছি । মিঃ চৌধুরী তার কথাগুলি খুব মনযােগের সাথে শুনলেন । পরে তিনি ছেলেটি কোথা হতে এসেছে , জিজ্ঞাসা করলেন । ছেলেটি বলল তার বাড়ী বিহারপুর । তােমার বাবার নাম ? বীরেশ্বর চন্দ্র রায় । বিহারপুর বীরেশ্বর নাম দুটা শুনে মিঃ চৌধুরীরই পরে বললেন , তােমার মায়ের নাম কি ‘ যুথিকা ; ’ ? ছেলেটি মাথা নাড়ল হ্যাঁ । গ্রামের নাম বিহারপুর বাবার নাম বীরেশ্বর , মায়ের নাম যুথিকা সব শুনে মিঃ চৌধুরী যেন বােকা হয়ে গেলেন । ছেলেটির দিকে এক নজরে কিছু সময় চেয়ে রইলেন পরে আবার উর্ধ্ব দিকে চেয়ে কি যেন ভাবলেন । ছেলেটি আর কিছু না বলে পিছন দিকে ঘুরে চলে যেতে সামনের দিকে পা বাড়াল । মিঃ চৌধুরী তাকে থামিয়ে বললেন , বাবা আসল জিনিসইতাে জানা হয়নি । তােমার নাম ? পার্থ প্রতীম রায় ।
কোথায় যাচ্ছ পার্থ ? এ শহরে তাে তােমার কেউ নেই তা তােমার কথা থেকেই বুঝলাম । তাই অনিশ্চিতভাবে না ঘুরে তুমি আমার সাথে চল । কিন্তু আপনিও তাে আমার পরিচিত নন । আপনার সাথেই বা কেন যাব , বলল পার্থ । মিঃ চৌধুরী বললেন , আমি তােমার কেউ না কিন্তু তুমি যে আমায় রক্ত দিয়ে উপকারটা করলে তার প্রতিদান দিচ্ছি । পার্থ বলল এর জন্য তাে আমি চরাদামই নিয়েছি । মিঃ চৌধুরী তার সাথে আর কথার যুক্তিতে না গিয়ে বললেন , শুন পার্থ ঢাকা শহরটা একটা বিচিত্র জায়গা তুমি আমার সাথে গেলে একটা নিশ্চিত আশ্রয়ে থেকে কিছুটা ঝামেলা কমিয়ে কাজ খুঁজতে পারবে । আর এজন্য আমার বাসায় কিছুদিন থাকলে অসুবিধা কোথায় ? পার্থ চুপ হয়ে গেলাে । পরে চাপা গলায় বলল টাকাটা তাহলে ফেরত নিতে হবে । মিঃ চৌধুরী তার আপত্তিটা বুঝলেন টাকাগুলি ফেরত নিয়ে পকেটে রেখে দিলেন । পার্থ মিঃ চৌধুরীর সাথে গিয়ে গাড়ীতে উঠলাে । ড্রাইভার গাড়ী ধানমন্ডীর দিকে চালাল । মিঃ চৌধুরী গাড়ীতে বসে কি যেন ভাবছেন , তাকে গাড়ীতে বেশ আনমনা মনে হচ্ছে । বিষয়টা লক্ষ্য করল পার্থ । পার্থ ঠিকই ভেবেছিল , মিঃ চৌধুরী ঠিকই ভাবছিলেন । তিনি স্মৃতি চারণ করছিলেন । পার্থকে দেখে তার ২০ বছরের আগের স্মৃতি ভেসে উঠল । মিঃ চৌধুরীর মনে আছে তখন যুদ্ধের সময়কাল । ৭১ সালের ২৫ শে মার্চের রাতের পর সবাই তখন শহর ছাড়ছিল । মিঃ চৌধুরীর বাবা খগেন্দ্র রায় চৌধুরীও বড় চিন্তিত হলেন । তিনি কোথায় গিয়ে উঠবেন । গ্রাম ছেড়েছেন তার বাবা বহু বছরের আগেকার কথা , সেই ৩০ সালে । গ্রামের সব জমি জমা বিক্রি হয়ে গেছে । নিকট আত্মীয় বলেও কেউ নেই আদি ভিটায় । তবে এখন তিনি কোথায় উঠবেন । শেষে তার এক অফিস কলিগের সাথে পরামর্শ হল তার সাথে তার গ্রামে অন্তত কয়েকটা দিনের জন্য হলেও বিহারপুর যাবেন । মিঃ চৌধুরীর মনে আছে এপ্রিল মাসের কোন এক সকালে তারা বিহারপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায় । বাপবেটা দুজন মা ও ঠাকুরমা মিলে চারজন । সাথে কাপড় চোপড় আর কিছু চাল । স্টেশন থেকে বিহারপুরের দূরত্ব মাইল খানেক । কিছু আগে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে রাস্তায় তাই কাদা জমে গেছে । বৃদ্ধ ঠাকুর মা আর চালের বস্তাটা নিয়ে বড় ঝামেলা হল । কোন যানবাহন নেই হেঁটে যেতে হবে । এমন সময় এক গ্রামের লােক এগিয়ে এল আমাদের সাহায্যে । ভদ্রলােকের বয়স আনুমানিক ৩২ এর মত হবে । মাথার চুল কোকড়ানাে গায়ের রং ফরসা । বুঝা গেলে মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। তিনি কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন কোথায় যাবেন , বললাম বিহারপুর অমল প্রসাদের বাড়ী । অমল কাকাদের বাড়ী ? চলুন , আমাদের পাশের বাড়ী । চলুন বলেই তিনি চালের বস্তাটা কাঁধে তুলে নিলেন এবং সামনের দিকে পা বাড়ালেন । আমরাও তার সাথে বিহারপুরের দিকে চললাম । এক মাইল পথ কাদাযুক্ত রাস্তা প্রায় এক মনের উপরে চাল । তাই চালের বস্তাটা ভদ্রলােক খুব কষ্ট করে নিয়ে চললেন । ঠাকুরমা অনেক পিছনে ধীরে ধীরে হাঁটছেন । তিনি একটু ভারী মানুষ । মা তাকে ধীরে ধীরে ধরে আনছেন । অমল বাবু আগেই তার বাবাকে যথাযথ ঠিকানা দিয়ে বাড়ীতে চলে এসেছিলেন । উনি জানতেন না যে আজই আমরা আসব । জানলে অবশ্য উনি আমাদের সাহায্যের জন্য স্টেশনে যেতেন । ভদ্রলােকের বয়স ভালই হয়েছে মাথার অর্ধেক চুল পেকে গেছে । অত দুঃখের দিনেও তিনি আমাদের দেখে বড় খুশী হলেন । খুশী হলেন বটে , কিন্তু তার সাধ্য বড় কম ছিল । ভদ্রলােকের অনেকগুলি ছেলে - মেয়ে না হলে হয়তাে চাকুরীর টাকায় ভাল চলত । জমিজমা তেমন নেই । যাহােক যে লােকটি আমাদের সাথে চালের বস্তা নিয়ে এসেছিল সে বস্তাটা অতি যত্নে ঘরের মেঝেতে রেখে , একটা নমস্কার দিয়ে চলে গেলেন । বাবা অমল কাকাকে জিজ্ঞাসা করলেন লােকটি কে ? অমলবাবু বললেন ওর নাম বীরেশ্বর । আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ওর বাড়ী । অমলবাবু বললেন বীরেশ্বর খুব উপকারী লােক । যেথায় মানুষের বিপদ আছে সেখানে বীরেশ্বর আছে ও ভাল কবিতা লেখে ও ভাল গান গাইতে জানে । অমল কাকার মুখে সেদিন বীরেশ্বর সম্বন্ধে এ সামান্যই জেনে ছিলাম । বীরেশ্বরকে ভালভাবে চিনে ছিলাম এবং জেনেছিলাম বিহারপুরে প্রায় ৬ মাস থাকাকালে । বিহারপুর ঘুরে বেড়াবার মত একমাত্র লােক ছিল বীরেশ্বর । আমি তখন আইন বিষয়ে ফাইনাল দিয়েছি । বীরেশ্বর গ্রামের মেট্রিক পাশ । তথাপি বীরেশ্বরের সাথে ঘুরলে তার বুদ্ধি আর জ্ঞান থেকে বুঝা যেত সে আমার চেয়ে বেশ ভাল বুদ্ধি রাখে । একদিন বীরেশ্বরের সাথে প্রায় সারাটা দিন কাটিয়ে দিয়ে ছিলাম । সেদিন বীরেশ্বরের মুখ থেকে শুনলাম আরেক কাহিনী । বীরেশ্বর বছর দুই আগে বিয়ে করেছে । সে প্রেম করে বিয়ে করেছে গাঁয়েরই মেয়ে যুথিকাকে । এই দোষে তার বাবা খােকারাম তাকে ত্যাজ্য করে দিয়েছেন । তার বাবার মােটামােটি ভাল জমি জমা আছে । সব থেকে বঞ্চিত করেছে তাকে । শ্বশুর শাশুড়ীর ভিটায় একটা চালা করে যুথিকাকে নিয়ে সাদা মাটা ঘর বেধেছে বীরেশ্বর । সচ্ছল না হলেও দুজনের সংসার চলছিল বিনা কষ্টে । আজ ও বাড়ীর ছেলে জলে পড়েছে তাকে বাঁচিয়েছে বীরেশ্বর কাল এ বাড়ীর ছেলে পরীক্ষার ফিসের জন্য পরীক্ষা দিতে পারছে না তাও সংগ্রহ করে দিয়েছে বীরেশ্বর । বীরেশ্বর গ্রামের বড় উপকারী এবং জনপ্রিয় লােক । একদিন বিহারপুরে থাকাকালে একরাতে ঠাকুরমার হঠাৎ পেট নরম হয়ে গেলাে । মােটামােটি ধরা যায় তার স্ট্রং ডায়রিয়া হয়েছে । এ অন্ধকার রাতে এমন অজপাড়াগায়ে ঠাকুরমাকে বাঁচানাে যেন দায় হয়ে গেল । বীরেশ্বর কিন্তু বসে থাকল না । সে এমন রাতেই ডাক্তারের খোঁজে বেড় হয়ে গেল । ডাক্তারকে সেলাইন সহ হাজির করল ও রাতেই । ঠাকুরমাকে ডাক্তার মশাই সেলাইন পুশ করলেন দুটো । বীরেশ্বরের জন্য সে রাতে ঠাকুর মা বেঁচে গেলেন । আমরা সবাই রক্ষা পেয়েছিলাম সে রাতে । বাবা খুব কেঁদেছিলেন । মিঃ চৌধুরীর মনে আছে বীরেশ্বরের সাথে তার শেষ দেখা '৭১ এর জুলাই এর ১৫ তারিখ রাতে । বীরেশ্বর সে রাতে তাকে বলেছিল দাদা , আমার যুথি রইল ওর প্রতি একটু খেয়াল রাখবেন আমি যাচ্ছি । বীরেশ্বর কোথায় যাচ্ছে আমি বুঝেছিলাম । আমি নিষেধ করে ছিলাম , কিন্তু আমার বাধা মানে নি । ঐ রাতেই সে মুক্তাঞ্চলে চলে গিয়েছিল । বীরেশ্বর আর ফিরে আসেনি । যুথিকার প্রতি নজর রাখতে বলেছিল বীরেশ্বর । আমি আর কি নজর রাখবাে সেই আমাদের পুরাে ফ্যামিলিটাকে রাখতো চোখে চোখে । দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমরা যখন শহরে ফিরে যাই তখন যুথিকা ৮ মাসের পােয়াতে । আমাদের ফেরার পথে সে শুধু তাকিয়ে ছিল যতদুর চোখ যায় তার কান্নার শব্দ আমি শুনেছিলাম বহুদূর পথ চলেও । বিশ বছরেও বীরেশ্বরের পরিবারের জন্য কিছুই করা হয়নি । একটু অপরাধবােধ জন্মিল যেন মিঃ চৌধুরীর । তাই তিনি আজ বড় খুশী । কিছুটা হলেও আজ তিনি বীরেশ্বরের পরিবারকে উপকার করে প্রতিদান দিতে পারবেন । পুরনাে স্মৃতি ভাবতে ভাবতে গাড়ী এসে চৌধুরীর বাসায় দাড়াল । মিঃ চৌধুরী কিছুটা চমকে উঠার মত ভাব করলেন । তিনি বর্তমানে ফিরে আসলনে । গাড়ী থেকে নেমে চৌধুরী পার্থকে নিয়ে সুর সুর করে উপরে উঠে গেলেন এবং কাকে যেন ডাকলেন । মা , অবন্তি , অবন্তি ---- পার্থ দেখল তার ডাকশুনে এক তরুণী বেড়িয়ে আসল । পার্থ দেখলাে এক নজর । মেয়েটি বড় সাদা সিধে পরনে সাদা সিধে পােশাক । সেলােয়ার কামিজ আর গায়ে জড়ানাে হালকা সবুজ ওড়না । মিঃ চৌধুরী বললেন মা , এ পার্থ বিহারপুরের বীরেশ্বরের ছেলে । মেয়েটি যেন চমকে গেলাে । বলল এ সত্যি বাবা ? যা বলছ তা কি সত্যি ? মিঃ চৌধুরী বললেন হ্যাঁ মা সব সত্য । পার্থকে তােমার দায়িত্বে ছেড়ে দিলাম মা । ওর দেখাশুনা তুমি নিজে করবে বলে মিঃ চৌধুরী চলে গেলেন এবং যাওয়ার আগে পার্থকে বলে গেলেন বাবা এ আমার মেয়ে অবন্তি । বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে । লজ্জা করোনা । কিছু প্রয়ােজন মনে করলেই অবন্তিকে ডেকো । অবন্তিকা রায় চৌধুরী পার্থের দিকে এক নজরে তাকিয়ে রইল , যেন পার্থ তার নিকট কত চেনা । সে দেখল হালকা পাতলা পার্থকে । তার গায়ের রং ফরসা মাথার চুল কুকড়ানাে । লম্বাটে দীর্ঘ দেহ । পার্থ মেয়েটির দিকে তার চোখ ঘুরাল দেখল মেয়েটি তার দিকে তখনাে তাকিয়ে আছে । পার্থর চোখ মুখে যেন ভয় আর লজ্জা । তাই সে আবারও অন্য দিকে তার চোখ ফিরিয়ে নিল । অবন্তিকা কিন্তু তখনাে চোখ সরায়নি সে যেন তার বাবার মুখে শােনা বিহারপুরের বীরেশ্বর কাকার মুখচ্ছবি পার্থর মুখে দেখতে পেলাে । আসলেই পার্থ ঠিক তার বাবার মতনই দেখতে । এবার অবন্তি পার্থকে বলল চলুন । আগে অবন্তি , পিছে পিছে পার্থ যেতে লাগল । প্রথমে অবন্তি তাকে শােবার ঘরটা দেখিয়ে দিল । পরে বাথরুমটা । পার্থ বেশ ক্লান্ত তাই সে বাথরুমে ঢুকে স্নানটা সেরে নিল । স্নান সেরে সে খাওয়া দাওয়া শেষ করল ।রাতে এসে মিঃ চৌধুরী অবন্তীকে তার মায়ের এক্সিডেন্টের কথা জানালেন এবং পার্থ যে রক্ত দিয়েছে সেটাও বললেন । এবং এও বললেন যে পার্থকে তখন না পাওয়া গেলে তার মায়ের বড় বিপদ হত । মায়ের কথা শুনে অবন্তী খুব কাঁদলাে । কেঁদে কেঁদে সে রাতে অবন্তি ঘুমাতে গেলাে । পরদিন সকাল বেলা পার্থ , অবন্তি আর মিঃ চৌধুরী হাসপাতালে গেলেন এবং ডাক্তারের মুখে মিসেস চৌধুরীর সম্পূর্ণ সুস্থের কথা জেনে সবাই নিশ্চিন্ত হল । অবন্তিরও কান্না থামলাে ।
চলবে.....
No comments